বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশঃ ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৪৬:৪৭ | আপডেটঃ ০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:৩৩:১২
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। এতে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) প্রায় ৫৮জন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।

রোববার (৪ ফেব্রæয়ারি) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১৪জন, এর পরে বিকেল ৪টায় আরো ৫জন এবং এরপরে কয়েক দফা মিলে সর্বমোট ৫৮জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরো বেশি হওয়ায় কথা জানান স্থানীয়রা এবং বিজিপির আরো সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে প্রবেশকৃত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে রয়েছে এবং তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক উর্ধতন কর্মকর্তা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। রোববার ভোর থেকে আবার লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে, বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

এদিকে হঠাৎ করে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্ত এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা, এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে নিরাপদে চলে গেছে।

এদিকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আমরা সীমান্তের কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি এবং সীমান্ত লাগোয়ো পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions