বান্দরবানে ইটভাটা বন্ধে থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন কাজ

প্রকাশঃ ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৩:২০:২৫ | আপডেটঃ ০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০৬:২৯:৫৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। হাইকোর্টের রায়ে বান্দরবানে একের পর এক ইটভাটা বন্ধ হওয়ার ফলে জেলার বাইরে থেকে ইট সংগ্রহে খরচ বাড়ার পাশাপাশি ইট এর সংকটে জেলার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে এই খাতের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানে প্রতি হাজার ইট বিক্রি হয় ৯ থেকে সাড়ে নয় হাজার টাকায়। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ইট ক্রয় করতে হচ্ছে প্রতি হাজার সাড়ে ১২হাজার টাকায়। জেলা সদর থেকে প্রতি ট্রাকে ৩হাজার ইট উপজেলাগুলোতে নেওয়ার জন্য ক্যারিং খরচ ১০হাজার টাকা খরচ হলেও যা চট্টগ্রাম থেকে আনতে খরচ হচ্ছে ১৩ হাজারের বেশি টাকা।

আরো জানা যায়, বান্দরবানে ৭টি উপজেলার মধ্যে সদরে ৯টি, থানচিতে ২টি, রুমায় ২টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৯টি, রোয়াংছড়িতে ২টি, আলীকদমে ৩টি ও লামায় ৪০টিসহ মোট ৬৫টি ইটভাটা রয়েছে। ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের প্রদত্ত রায়ের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫টি, লামায় ৩টি, আলীকদমে ১টি, জেলা সদরে ১২টি মোট ২১টি ইটভাটায় ইট উৎপাদন চলমান রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটা থেকে ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স, ভূমি কর হিসাবে কয়েক লক্ষ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করা হয়। প্রতিটি ইটভাটায় প্রায় দুইশত শ্রমিক কাজ করে, সেই হিসাবে প্রায় ১০-১৫ হাজার শ্রমিক ইটভাটাগুলোতে নিয়োজিত, ইট পরিবহণের সাথে জড়িত শত শত ট্রাক শ্রমিক, তারা কর্মহীন হয়ে পড়ছে এখন।

আরো জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলায় সীমান্ত সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক নির্মান, ব্রিজ নির্মান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে ইটের সংকটে নির্মান কাজ থমকে যাচ্ছে, অনেকে উচ্চ দামে ইট সংগ্রহ করছে চট্টগ্রাম জেলা থেকে, ফলে নির্মান ব্যয় বাড়ছে।

বান্দরবানের ঠিকাদার মো.ফারুক জানান, ইটভাটা বন্ধ হওয়ায় ইট উৎপাদন কমে যাওয়ার কারনে জেলার বাইরে থেকে ইট সংগ্রহ করে নির্মান কাজ শেষ করতে ব্যয় বাড়ছে, অনেকে ইট সংকটের কারনে কাজ বন্ধ রাখছে।

বান্দরবানের ইটভাটা মালিকরা জানান,অনেক ইটভাটা বন্ধের ফলে ইতিমধ্যে জেলায় ইটের সংকট দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে পুরো জেলার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions