খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত দাবি

প্রকাশঃ ০৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০১:১৮:৪১ | আপডেটঃ ০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০৫:৩৪:৪১

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে এবং তদন্ত পূর্বক উক্ত ফলাফল স্থগিতের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আজ ০৮ অক্টোবর ২০২৩ পিসিপি সভাপতি অংকন চাকমা সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুগ্ন বিবৃতিতে এই নিন্দা প্রতিবাদ জানান।


নেতৃদ্বয় বলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ০৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা এবং ০২ অক্টোবর হতে ০৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের রোল নাম্বার ক্রমানুসারে কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে গত ০৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে প্রকাশ করেন। লিখিত পরীক্ষায় ফেল, তবুও চূড়ান্ত ফলাফলে ৭৭১ রোল নাম্বার রয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ মুদ্রণজনিত সমস্যা উল্লেখ করে পুনবার ফলাফল প্রকাশ করলে দেখা যায় চূড়ান্ত ফলাফল থেকে আরও জন প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন জনকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতেই স্পষ্ট হয় নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।


নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত জেলা পরিষদের এক সদস্যকে উদ্বৃত খবরের বরাত দিয়ে জানতে পারি যে ২৫৭ টি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩৩৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সংশোধনীতে ৩৩৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। শূণ্য পদের প্রকৃত সংখ্যার তারতম্য থেকে অনিয়মের প্রমাণ স্পষ্ট হয়।


তারা আরও যোগ করেন,  জেলা পরিষদের প্রাথমিক শিক্ষকসহ সকল নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু জবাবদিহিতার অভাবে অপরাধীরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়। পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো নিয়োগ বানিজ্য দুর্নীতির আকড়াতে পরিণত হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলে দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ অভিলম্বে ফলাফল স্থগিত করে উল্লেখিত অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানান

 

 

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions