খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত একাংশের

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। আগামী ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাংশের নেতৃববৃন্দ। শুক্রবার বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পর্যটন মোটেলের হলরুমে গোপনীয়তা রক্ষা করে এক সভা করেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন সহ-সভাপতি, উপদেষ্টাসহ নানা পদের নেতাকর্মীরা। 

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা সভার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জাহেদুল আলম, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, খগেশ্বর ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, তপন কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীগের সাবেক সভাপতি, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শামছুল হক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা সভার কথা নিশ্চিত করে বলেন, কোন এজেন্ডা ছাড়া বিশেষ বর্ধিত সভা দেয়া গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। মনগড়া ভাবে সংগঠন চলতে পারেনা। জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান  সভাপতি ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিজের মতো করে সংগঠন চালাতে চাচ্ছেন। তাই সমমনা অনেকে মিলে আমরা আগামী ৯ এপ্রিলের বিশেষ বর্ধিত সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

একই সাথে সভায় আগামী জুন মাসের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল সম্পন্ন করতে এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের নানা অসংগতি ও জেলা আওয়ামীলীগের অসাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন সভায় অংশগ্রহণকারী অনেকে।

গোপনীয় ভাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সশরীরে ও মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, কারা কোথায় বসে মিটিং করলো সেটা আমার জানা নেই। গঠনতান্ত্রিক নিয়মে সংগঠন চলছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব নের তাৎকালীন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। পরবর্তীতে ২০১৯ এর সবশেষ কাউন্সিলেও দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ দলীয় সমর্থেন দুইবারের মতো সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক গ্রুপিং নিরসনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বকে অগ্রণী হিসেবে আখ্যায়িত করেন অনেকে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দৌঁড় শুরুর কয়েক মাস  আগে জেলা আওয়ামীলীগে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে এমন সিদ্ধান্ত নতুন ডালপালা ছড়ানোর আভাস বলছেন কেউ কেউ।